Ramprasad Jiboni o Rochonasomogro
About this text
Introductory notes
The present selections have been made from Satyanarayan Bhattacharya's biography and collection of Ramprasad Sen's compositions, published in 1957 from Calcutta. Ramprasad Sen was noted saint and devotee of Goddess Kali, Ramprasad, an inhabitant of Halisahar, in present day North 24 Parganas in West Bengal, lived during the 18th Century. Ramprasad, who was a poet and composer was patronised by Maharaja Krishnachandra, the zaminder of the Nadia estate. Ramprasad's devotional songs to Goddess Kali, known as 'Ramprasadi' have retained their popularity over two centuries. Ramprasad's compositions and his signature Ramprasadi tunes have subsequently influenced future poets and composers, including Rabindranath Tagore. Ramprasad was witness to the major developments and changes that Bengal underwent during the 18th Century, and these events have left a mark in his compositions.
Ramprasad Sen was deeply affected by Famine of 1770, and the scarcities that rural Bengal experienced during his life time. The songs selected here bear testimony to the sufferings that the people of Bengal underwent during Sen's lifetime.
Selection details
Ramprasad Sen was deeply affected by Famine of 1770, and the scarcities that rural Bengal experienced during his life time. The songs selected here bear testimony to the sufferings that the people of Bengal underwent during Sen's lifetime.
[Page 109]
অন্ন দে গো অন্ন দে গো
অন্ন দে গো অন্নদা ।
জানি মায়ে দেয় ক্ষুধায় অন্ন
অপরাধ করিলে পাছে পদে ।।
মোক্ষ প্রসাদ দেও অম্বে
এ সুতে অবিলম্বে
জঠররে জ্বালা আর সহে না তারা
কাতরা হইও না প্রসাদে ।।
[Page 117]
2. (প্রসাদী সুর, তাল- একতালা)
আমি কি দুঃখেরে ডরাই ।
ভবে দেও দুঃখ মা আর কত চাই ।।
আগে পাছে দুখ চলে মা, যদি কোন খানেতে যাই ।
তখন দুখের বোঝা মাথায় নিয়ে, দুখ দিয়ে মা বাজার মিলাই ।।
বিষের কৃমি বিষে থাকি মা, বিষ খেয়ে প্রাণ রাখি সদাই ।
আমি এমন বিষের কৃমি মাগো, বিষের বোঝা নিয়ে বেড়াই ।।
প্রসাদ বলে ব্রহ্মময়ী বোঝা নাবাও ক্ষণেক জিরাই ।
দেখ সুখ পেয়ে লোক গরব্ব করে, আমি করি দুঃখের বড়াই ।।
[Page 130]
3. (রাগিনী- জয়জয়ন্তী, তাল-জৎ)
এ সংসারে ডরি কারে, রাজা যার মা মহেশ্বরি ।
আনন্দে আনন্দময়ীর, খাস তালুকে বসত করি ।।
নাইকো জরীপ জমাবন্দী, তালুক হয় না লাট-বন্দি (মা)।
আমি ভেবে কিছু পাইনে সন্ধি, শিব হয়েছেন কর্মচারী ।।
নাইকো কিছু অন্য লেঠা, দিতে হয় না মাথট বাটা (মা)।
জয় দুর্গার নামে জমা আটা, ঐটা করি মালগুজারি ।
বলে দ্বিজ রামপ্রসাদ, আছে এ মনের সাধ (মা)
আমি ভক্তির জোরে কিনতে পারে, ব্রহ্মময়ীর জমিদারি ।।
[Page 134]
4. (প্রসাদী সুর, তাল-একতালা)
ওরে শমন কি ভয় দেখাও মিছে ।
তুমি কি পদে ওপদ পেয়েছ, সে মরে অভয় দিয়েছে ।।
ইজারার পাট্টা পেয়ে, এত কি গৌরব বেড়েছে ।
ওরে, স্বয়ং থাকতে কুশের পুতুল, কে কোথা দাহন করেছে ।।
হিসাব বাকী থাকে যদি, দিব না রে তোদের কাছে ।
ওরে, রাজা থাকতে কোটালের দোহাই,
কোন দেশেতে কে দেখেছে ।।
শিব রাজ্যে বসতি করি, শিব আমায় পাট্টা দিয়েছে ।
রামপ্রসাদ বলে সেই পাট্টাতে ব্রহ্মময়ী সাক্ষী আছে ।।
[Page 165]
5. (প্রসাদী সুর, তাল- একতালা)
দুটো দুঃখের কথা কই ।
দুঃখের কথা কই গো তারা মনে কথা কই ।
কে বলে তোমারে তারা দিন দয়াময়ী ।।
কারেও দিলে ধণ জন মা হয় হস্তিরথী জয়ী ।
আর কার ভাগ্যে মজুরখাটা শাকে অন্ন মিলে কই ।।
কেহ থাকে অট্টালিকায়, আমার ইচ্ছা তেম্নি রই ।
ওমা, তারা কি তোর বাপ্রর ঠাকুর, আমি কি কেউ নই ।।
কারো অঙ্গে শাল দোশালা, ভাতে চিনি খই ।।
কেউবা বেড়ায় পালকী চড়ে আমি বোঝা বই ।
মাগো আমি কি তোর পাকা ধানে দিয়াছি গো মই ।।
প্রসাদ বলে তোমায় ভুলে আমি জ্বালা সই ।
ওমা, আমার ইচ্ছা অভয়পদে চরণ ধূলা হই ।।
[Page 193]
মা মা বলে আর ডাকবনা ।
ওমা দিয়েছ দিতেছ কতই যন্ত্রণা ।।
ছিলাম গৃহবাসী করিলে সন্ন্যাসী,
আর কি ক্ষমতা রাখ এলকেশী ।
ঘরে ঘরে যাব, ভিক্ষা মাগি খাব,
মা বলে আর কোলে যাব না ।।
ডাকি বারেবারে মা মা বলিয়ে, মা কি রয়েছ চক্ষুকর্ণ খেয়ে,
মা বিদ্যমানে এদুঃখ সন্তানে, মা মলে কি আর ছেলে বাঁচেনা ।
ভণে রামপ্রসাদ মায়ের কি এ সুত্র, মা হয়ে হলি মা সন্তানের শত্রু,
দিবানিশি ভাবি আর কি করিবি, দিবি দিবি পুন জঠর যন্ত্রণা ।।
[Page 203]
7. (প্রসাদী সুর, তাল-একতালা)
শমন আমি কি তর খাজনা ধারি ।
শ্যামা ত্রিভুবনের কত্রী, তুমি কেবল পাটোয়ারী ।
তুমি যেমন আমি তেমন, তোমাই আমায় ভায়াচারী ।
শোনরে শমন দুরাচার, করোনা আর জোর জবরী ।।
দুর্গা নামের সালতা কবচ বৃথা কি আমি হৃদয়ে ধরী ।।
(খণ্ডিত)