Manasamangal

About this text

Introductory notes

Mangalkabya is a popular genre in Bengali, influenced by regional cults such as that of Chandi, Manasa, Dharma, or Vaishnav songs, flourished from the thirteenth century to the eighteenth. However, mangal kavya poems appear to have been written until the start of the nineteenth century. The poems are typically written in the form of songs (panchalika) meant for performance by professional singers (mangal gayak) backed by a male chorus (dohar) during ritual worship of the particular deity who was the subject of the poem. Visnu Pala's Manasamangala is printed from a manuscript from the collection of the Asiatic Society in Calcutta. This is the only available manuscript of the text. The manuscript was composed sometimes between 1775 to 1825. Dr. Sukumar Sen, the noted Bengali linguist edited and published Visnu Pala's Manasamangal in 1968 from the Asiatic Society.

Dr. Sen suggests the text though true to the nature of the Mangalkavyas is not an exact reproduction of the Mansamangal that was commonly known. Instead Visnu Pala presents a version that was used by the village singers to the common people. Sen pointed out from the language of the text, that the poem was composed somewhere on the basin of the Ajay river, on the western part of Bengal.

Selection details

Dr. Sen suggests the text though true to the nature of the Mangalkavyas is not an exact reproduction of the Mansamangal that was commonly known. Instead Visnu Pala presents a version that was used by the village singers to the common people. Sen pointed out from the language of the text, that the poem was composed somewhere on the basin of the Ajay river, on the western part of Bengal.

[Page 14]

1. বাচাল

চারি বচ্ছর পূজা করে হবিষ্য করিয়া ।
চারি বচ্ছর পূজা করে ফলমূল খায়া ।।
অষ্ট বচ্ছরে দেখা না দেন মহশ্বর ।
অনাহারে স্তুপ করে এ বার বচ্ছর ।
হেট মাথা উপরে জাঙ্গ করে অধিকারী ।
পায়ের উপর জ্বেল্যা দিলা মোমের দিউড়ি ।।
শিব শিব বল্যে বরুণ তিন ডাক দিল ।
কৈলাস শিখরে প্রভুর আসন টলিল ।।
ধেয়ানে জানিলে প্রভু ভোলা মহেশ্বর ।
বরুণের তপস্যা-সালে দিলা দরসন ।
গান কবি বিষ্ণু পাল বিষহরির বর ।
ভক্ত নায়কে দিবে মা ঈশ্বরী বর ।।
[Page 36]

2. বাচাল

ফিরে মাদাই আউরি আউরি ।
হিন্দু মোছল্মান চিনিবারে নারি ।
ভাই সভার হাথে ছুরি-কাটারি ।
দারুণ কুখুরার রোল ।
বিষম বাজিছে ঢোল
হাআই ছাড়িছে ঘনে ঘনে ।
কালু তুবকা মোছলমান
মাগ্যের পাতে ভাত খান
সোখখিতে না দেয় গোমায় ।
মাধাই গেল রে কসায়ের হাট ।
[Page 37]
মাস বিষে [২২খ] মাথায় পাগ
কপিলার মাংস তুলে ধরি ।
সেখানে ডাড়ায়া ভাই দেবীর মাধাই রে ।
প্রাণ কাঁপএ থরথর ।
মাধাই গেল রে সোএর হাট ।
নাটিনী পুরিছে নাট
গুলতি ভাজিয়া খায় সুর ।
সেখানে ডাড়ায়া ভাই দেবীর মাধাই রে ।
প্রাণ কাঁপএ থরথর ।
সনমঙ্গল বারে হাট পড়িছে হাসনের হাট
তায় বিকাই শতশ্বরি হার ।
সেখানে হইতে গেলা দেবীর মাধাই রে
সেখানে আছেন বিষহরি ।
দেখিয়া আইলাম যে সম্মুখ হইবেক যে ।
ছাড়িয়া পালায় তিরোপৃণি ।।
[Page 60]

3. বাচাল

তৈইল হলিদ্রা নিল ডাবরে ভরিয়া ।
স্নান করিবারে জাঅ ছয় বধু লয়া ।
সেখানে হইতে রামা করিলা গমন ।
রামেশ্বারের ঘাটে যায়া দিলা দরশন ।
তইল হলিদ্রা মাখে ভৃকুটী করিয়া ।
স্রান তর্পণ কর‍্যে রামা অঙ্গে হল্যা শুচি ।
পালটন করিয়া সুখান বস্তু ধুতি ।
পা পাখালিয়া সনকা রসএ সামাঅ ।
রসই করিতে সনকা বুর্দ্ধি উপায় ।
সাগ ডাল রান্ধিছে মুগের ভাজা বড়ি ।
দুগ্ধ-লাউ রান্ধে রামা দুগ্ধ-কুঙরি ।
পঞ্চাশ বেঞ্জন রান্দে তড়াবড়ি ।
অর্ধ ভাগ অন্ন দেখ হাড়িতে ভরিয়া ।
কুলঙ্গার উপরে অন্ন রাখিলা তুলিয়া ।
ঝাটি ছড়া দিয়া পবির্ত্ত কৈল মাটী ।
ভোজনে বসিলা ধনিন অধিকারী ।
সাগ দালি খাল্য মুগের ভাজা বড়ি ।
দুগ্ধ-লাউ খাইল্যা রাজা দুগ্ধ-কুমারী ।
পঞ্চাশ বেঞ্জন অন্ন ভুজন তড়াবড়ি ।
ভোজন করিয়া রাজা আচমনে জাঅ ।
নফর সুবর্ণ ঝারি আনিয়া জোগায় ।
আচমন করিতে রাজা না করিল হেলা ।
দ্বাদশ খড়িকা খাল্যা পঞ্চাশ কুলকুচা ।
[৪৭ খ] ছয় পুত্র লআ রাজা বসিলা সারি সারি ।
নফরে জোগাল্য জেয়া তাম্বুলের খিলি ।
রবি অস্ত গেল কিবা নিশির উদয় ।
ছয় ঘরে ছয় ভাই করিলা সঅন ।
দুতিয়া দুফর রাত্রি গগন উপরে ।
মাধাই ডাকে কালিকে বলেন বচন ।
শুন শুন আগো কালি নিবেদন করি ।
শীঘ্রগতি অন্নে গরল দাও গা হে তুমি ।
এতেক শুনিয়া কালি করিলা গমন ।
রাজার সঅন-ঘরে দিলা দরশন ।
আজি জেছ মহারাজ আনন্দ করিয়া ।
কালি ত তোমার পুত্র যাবে রে ছাড়িয়া ।
কালি বেড়িয়া ভেঙ্গেছে মাএর সুবর্ণের বারি ।
আজে কালে হবে তোমার ছয় বধু রাড়ি ।
তুমি হেন বাদী মাএর কি করিতে পারি
আপনে মজালে বেন্যা আপনার গারি ।
এতেক বলিয়া করিলা গমন ।
রসএর ঘরে যায়া দিল দরশন ।
নিউলি বাহিয়া উঠে কোলঙ্গার উপর
[Page 61]
কোলঙ্গায় উঠিয়া বলেন উত্তর ।
দাওরে করিয়া হাড়ির সরা ঘুচাইল ।
আড়াইপণ বিষ রে যুর্ভ্বার আগে থুল্য ।
আড়াইপণ বিষ দিয়া কালি যাত্রা করিল ।
শুন অরে বাছা পুত্র গঙ্গাধর ।
কালি দেখে শুনে অন্নগোলা করিবে ভোজন ।
[৪৮ খ] সেখানে হইতে কালি করিলা গমন ।
মাধাইএর রথের কাছে যাএা দিলা দরশন ।
নিশি অস্ত গেল কিবা রবির উদঅ ।
নিদ্রাতে হইতে উঠিল্যা সদাগর ।
ছয় ঘরে ছঅ ভাই নিদ্রাতে উঠিয়া ।
ডাড়াল্য মাএর কাছে হরষিত হয়া ।
গান কবি বিষ্ণু পাল বলি বিষহরি ।
অন্ন দাও গা অগো মাতা কুক্ষধরণী।
[Page 61]

4. বাচাল

পুত্রমুখে শুনি রাণীর আনন্দ বাড়িল ।
মাইতর বধুকে রাণী ডাকিয়া আনিল ।
শুন শুন অগো বধু হরষিত অন্তরে ।
তইল হলিদ্রা ভৃকুটী মাখে করিয়া ।
তোলা জলে সেই বধু স্ব্যান রে করিয়া ।
হরষিত হয়া বধু অন্ন দিতে জাঅ ।
ডাহিনে হাঁছিল বধুর বাঁমে টীকটীকায় ।
হাছি টীকটীকি বধু কর‍্যা আছে মনে ।
কালি বেড়িয়া ভাঙ্গেছে বারি তথির কারণে ।
বধু বলে শুন সেধানি নিবেদন করি ।
অন্ন দিতে নারিলাম শুন গো জননী ।
তখন ই ফুলবহুরি রাণী আনে ডাক দিয়া ।
অন্ন দাও গা অগো বধু হরষিত হয়া ।
তইল হলিদ্রা মাখে ভৃকুটী করিয়া ।
তোলা জলে সেই বধু স্রান রে করিয়া ।
দুখানি সুবর্ন থাল আনে টান দিয়া ।
অন্ন সজি করে বধু হরষিত হয়া ।
ঝাটী-ছড়া দিয়া পর্বিত্ত কৈল মাটী ।
ভোজনে [৪৮খ] বসিলা ছয় ভাই সারি সারি ।
অন্ন জোগাল্য লয়া ই ফুলবহুড়ি ।
গণ্ডূষন্ন হয়া যেই ভোজনে বসিব ।
পিঞ্জীরাঅ থাকিয়া সুগা বলিতে লাগিল ।
অনেককাল মহারাজার খেয়া আছি নুন ।
বিপর্ত পড়িল এবে কিছু করি গুণ ।
শুন শুন অরে মোর ভাই গঙ্গাধর ।
আগু অন্ন দাও আমার পিঞ্জরের উপর ।
দধি মাখে অন্ন পিঞ্জীরায় তুলে দিল ।
হিতের লাগিয়া সুগা বিশ-অন্ন থাইল ।
গোটা চারি অন্ন যেই করিলা ভোজন ।
উদ্রর জ্বলিয়া উঠে জ্বলন্ত আগুন ।
একে ত কালির বিষে প্রাণ বধিতে নারি ।।
পিঞ্জীয়াতে মৈল মুগা বলিয়া শ্রীহরি ।
শ্যামসুন্দর বলে দাদা পান্ত অন্নের গুণ ।
পান্ত অন্ন খায়া সারিসুখাকে এল্য ঘুম ।
উদর ভরিয়া দাদা পান্ত অন্ন খাব ।
পালঙ্গে পড়িয়া আজি সুখে নিদ্রা যাব ।
তাথে না বুঝিলা দেখ ভাই ছয়জন ।
পান্ত অন্ন খাতে তাদের আনন্দিত মন ।
মহারাজার ঘরে বিড়াল অনেককাল ছিল ।
অন্তরযামিনী বিড়াল সকলি জানিল ।
অনেক [কাল] মহারাজার খায়া আজি নুন ।
বিপর্ত পড়িল এবে কিছু করি গুণ ।
শুন শুন অরে মোর ভাই গঙ্গাধর ।
আগু অন্ন দাও আমার ভূমের উপর ।
দধি মাখে অন্ন বিড়ালে ফেলে দিল ।
হিতের লাগিয়া বিড়াল বিষ-অন্ন খাল্য ।
[Page 62]
গোটা চারি অন্ন যেই করিলা ভোজন ।
[৪৯ ক] উদ্রর জ্বলিয়া উঠে জ্বলন্ত আগুন ।
একে অ কালির বিষে প্রাণ ধরিতে নারি ।
মরইতলে মৈল বিড়াল বলিয়া শ্রীহরি ।
তাথে না বুঝিলা দেখ ভাই ছয়জন ।
পান্ত খাইতে তার্দের আনন্দিত মন ।
পান্ত অন্ন খেছে তাদের তোথা নাহি মা ।
চালের উপরে কেওা ডাকে বলে খা খা ।
দধি মাখে অন্ন কেওাকে ফেলে দিল ।
হিতের লাগিয়া কেওা বিষ-অন্ন খাল্য ।
একে ত কালির বিষে প্রাণ ধরিতে নারি ।
চালের উপরে কৈওা মৈল বলিয়া শ্রীহরি ।
তাথে না বুঝিলা দেখ ভাই ছয়জন ।
পান্ত অন্ন খাতে তার্দের আনন্দিত মন ।
গাস চারি অন্ন যেই করিলা ভোজন ।
উদর জ্বলিয়া উঠে জ্বলন্ত আগুন ।
শ্যামসুন্দর বলে দাদা কি বলিব কারে ।
পান্ত অন্ন খায় দাদা ঠুট কেনে জ্বলে ।
কালি বেড়্যায়া ভেঙ্গেছে মাএর সুবর্ণের বারি ।
পাছে সর্বনাশ করে গেল বিষহরি ।
এতেল ভাবিয়া ছটী ভাই উঠে জাঅ ।
চলিয়া পড়িল হেসাল-দুআরের গায় ।
গাম কবি বিষ্ণু পাল বন্দিয়া বিষহরি ।
ছয় পুত্র তনু তেআগিল বলিয়া শ্রীহরি ।।
[Page 66]

5. বাচাল

তইল হলিদ্রা নিল ডাবরে ভরিয়া ।
স্বান করিবারে যায় আনন্দিত হয়া ।
সেখানে হইতে রাকা করিলা গমন ।
রামেশ্বররের ঘাটে যায়া দিলা দরশন ।
[Page 67]
তইল হলিদ্রা মাঝে ভৃকুটী করিয়া ।
স্বান করিবারে নামে হরষিত হয়া ।
হিআ এক জলে রে নামিলা বিদ্যাধরী ।
ব্রহ্মাণির ঔষদ ভকে বলিয়া শ্রীহরি ।
কুঘাটে নামিল সনকা সুঘাটে উঠিল ।
উদ্রে যাইয়া বালা লখাই জন্মিল ।
সেখানে হইতে রাজা করিলা গমন ।
আপনার মন্দিরে যায়া দিলা দরশন ।
স্বান তর্পণ কর‍্যে রামা অঙ্গে হৈল যুতি ।
পালটন করিলা সুখান বস্তু ধুতি ।
পা পাখালিয়া সনকা রসএ সামায় ।
রসই করিতে রামা বুদ্ধি উপায় ।
সাগ-দালি রান্দিছে মুগের ভাজা বড়ি ।
দুগ্ধ-লাউ রান্ধে রামা দুগ্ধের কুঙরি ।
পঞ্চাশ বেঞ্জন অন্ন রান্ধে তড়াবড়ি ।
কৈ মার্চ্ছ রান্ধে রামা কেতে ফেলে মুড়া ।
তার উপরে তুলে[৫৪ক] দিলে মরিচের গুড়া ।
বোআলি মার্চ্ছ রান্দে রানী নামে হোআনিবেতা ।
তার উপরে তুলে দিছে অর্ম্বড়া কর ।
রসই করে সনকা রানীর কানে দোলে সোনা ।
কড়ূয়া তেলে ভেজে তুলে ই সোল পোহনা ।
রসই করিতে বেলা অবসান হইল ।
সন্দাকাল হল্য আমার রাজা নাহি আল্য ।
ভালাভালি সনকা দেখ নেড়্যা রে আইল ।
পশ্চাতে আইলা ধনিন অধিকারী ।
আনন্দিত হইল দেখ সনকা সুন্দরী ।
ঝাটি ছড়া দিয়া পবির্ত কৈল মাটী ।
ভোজনে বসিলা ধনিন অধিকারী ।
সাগ ডালি খাইল মুগের ভাজাবড়ি ।
দুগ্ধ-লাউ খেল্যা রাজা দুগ্ধের কুঙরি ।
পঞ্চাশ বেঞ্জন অন্ন ভুঞ্জে তড়াবড়ি ।
ঘন ঘন রাজা রাণী মুখ চাঅ ।
বাহু তুলে সনকা রানী সংখ দেখায় ।
ভোজন করিয়া রাজা আচমনে যায় ।
মনসার বরে কবি বিষ্ণু পালে গায় ।
[Page 77]

6. বাচাল

মো বড় রান্ধুনি সসুর হে ।
সেখানে হইতে সাএর করিলা গমন ।
বড় বধুর কাছে যায়া দিলা দরশন ।
শুন শুন আগো বধু নিবেদন করি ।
ষোল শ বণিকের অন্ন রান্দে দাও তুমি ।
[৬৪ক] শ্বশুর সাদ কর‍্যা রান্দেছিলাম
নালতা সাগের ঝোল ।
রন্ধনের কথা কিছু মন দিয়া শুন ।
শুন শুন অহে শ্বশুর নিবেদন করি ।
ভাগ মাপ কর‍্যা দিলাম হেট্যা-টেক পানি ।
মা ভাসে বাপু আর ভাসে দাদা ।
নালতা সাগের ঝোলে সব মেঝা হৈল কাদা ।
সাদ কর‍্যা রান্দেছিলাম মুসুরির সুপ ।
বিড়াল সাঁতুরে বুলে ইন্দুরে মারে ডুব ।
একথা শুনিয়া সাএর করে হায় হায় ।
আর একটী বধুর কাছে আসিয়া ডাড়ায় ।
শুন শুন আগো বধু নিবেদন করি ।
ষোল শ বণিকের অন্ন রান্দে দাও তুমি ।
সাদ কর‍্যা রান্দেছিলাম মাসকলাএর দালি ।
তেজপাত বল্যে দিলাম ছেটা তালাই ।
একথা শুনিয়া সাধু করে হায় হায় ।
ষোল শ বণিক পাছে অভক্ত যায় ।
আর একটী বধুর কাছে আসিয়া ডাড়ায় ।
শুন শুন অগো বধু নিবেদন করি ।
ষোল শ বণিকের অন্ন রান্দে দাও তুমি ।
সাধ কর‍্যা রান্দেছিলাম মাছ-চড়চড়ি ।
ফোড়ন বলিয়া দিলাম নাকের পিচুড়ি ।
একথা শুনিয়া সাধু করে হায় হায় ।
ষোল শ বণিক পাছে অভক্ত যায় ।।
[Page 91]

7. বাচাল

সর্ন্নকার হৈল য়ে লোহার বাসো-ঘর ।
রথ ছাড়ে কালি নাগ মেড়ে কৈল ভর ।
কাল-খুদা দিয়া চিআল্য লক্ষিন্দর ।
উঠিয়া বসিল বালা পালঙ্গ উপর ।
অর্ন্ন দিয়া আলো প্রিআ প্রাণ রক্ষা ক[র] ।
এই বাসো-ঘর অর্ন্ন জল লো বিলায় ।
যমের মুণ্ডে টনক মার‍্যে দেবসভায় যায় ।
ভাল আজ্ঞা করিলে অভাগিনী গুণমণি ।
প্রভু কোথা পাব হাঁড়ি চালু কোথা আগুন-খানি ।
বেহুলা তোর মাকে করিতে মোর মা বড় গ্রিহিনী ।
এখের হাঁড়িতে দিল ই চালু বিউলি ।
একটী সরা চালু নাও কলাই বাছিয়া ।
এই বাসো-ঘরে অর্ন্ন দাও লো রান্দিয়া ।
[Page 92]
নারিকলের ছাচুনি কর নারিকলের দিউড়ি ।
ছামুনি হাড়ি নাও ভিঙ্গারের পানি ।
সুবুদ্ধি সাএরের ঝি নিবুর্দ্ধি হৈলে পারা ।
বাসরের রতন জ্বলে আগুন মাগে কারা ।
ভাত ভাত বল্যে বালা ঘুমে দিল মন ।
একলা বাসরে বেউলা করেন রোদন ।
নাগের ঘায়ে না মল্যা অভাগির দণ্ডধর ।
অন্ন বিনে মৈল দণ্ড মাথার ছতর ।
অন্ন বিনে যদি রে মরিব দণ্ডধর ।
কালি কেমনে ভাসিব গঙ্গাজলের উপর ।
বেউলার নারিকলের ছামুনি কৈল নারিকলের দিউড়ি ।
ছামুনির হাড়ি নিল ভিঙ্গারের পানি ।
একটী সরা চালু নিল কলাই বাছিয়া ।
রসী করিতে রামা চলিলা সাজিয়া ।
বলে অনেক [৭৯খ] টাকা ভাঙ্গে দিল লোহার বাসো-ঘর ।
ইহাতে দেখেছি একটী খাম রে ডাগর ।
ইহার চেলি চারি কুচা ছাড়াইয়া নিব ।
রসান কাটারি বেউলা খামে মারে ঘা ।
লোহার ঘর লোহার বাতা ঝন ঝন কাড়ে রা ।
হাতে কাতা ফেলিয়া কপালে মারে ঘা ।
ইহ রে দুরন্ত লোহা হয়া গেল ।
নিশ্চয়ে জানিল্যাম প্রভু অন্ন বিনে মৈল ।
তখন মেড়ে থাকে মাএর সে কালনাগিনী ।
মরে নাই মরে নাই তোমার গুণমুনি ।
আমার কথায় যে পতিত না যায় তুমি ।
সিকায় তুলে দিয়া দেখন লো সুন্দরী ।
নেত চিরে বেউলা রাণী জ্বাল গা আগুনি ।
শ্রীরাম কদিলির পত্র খস্যে খস্যে পড়ে ।
কালি ডাকে বলে বেউলা স্বপ্ন বেউলা স্বপ্ন হেন শুনে ।
কালি বিভা হৈল রে উজানি একাকারে ।
অশ্চাত প্রভুকে কেমনে রান্দি দিব ভাত ।
ঘট বারিতে ছিল তুলুসি একপাত ।
তুলুসিজল কর‍্যে বেউল্যা অঙ্গে হইল যুচি ।
পালটন করিলা সুখান বস্ত ধুতি ।
কোথা আছ অগো মা ঈশ্বর-ঝিয়ারি ।
ডাক দিয়া আপনে বলেন বিদ্যাধরী ।
আড়াই উকালে অন্ন সিদ্ধ হবে ।
মতে মড়া কুলে করি জলে ভাস্যা যাব ।
মনসা ধেআয়া বেউলা ভেজাইল জাল ।
প্রথম উকালে অর্ন্ন ফুটিতে লাগিল ।
আড়াই উকালে অন্ন রান্ধিয়া নামাল্য ।
গান করি বিষ্ণু বিষহরির বর ।
অভাগী রান্ধিল অন্ন কে করে ভোজন ।।
অরে [৮০ ক] বাছা আর অন্ন না কর ভোজন ।
বাসরে ভুঞ্জিছ ভাত কাণির মনে কত তাপ
কত অন্ন তুঞ্জ বাসো ঘরে ।
বাছার নিদ্রাতে না উঠেতে হাত
নাকে মুখে গুজ ভাত
আর অন্ন না কর ভোজন ।
তপ্ত অন্ন খাইলে উদ্রর জ্বলিবে রে
দগধে মরিব লক্ষিন্দর ।
[Page 121]

8. বাচাল

বড় হিয়াতে আকুল বিষহরি ।
বাছার হাড় হল্য স্থানে স্থান
মাসের নাহিক পরিস্তান
বড় লজ্জা পাবে দেবপুরী ।
বিশাই বল্যে সঙরিল তখনি বিসাই আল্য
ডাড়াল্যো দেবীর বরাবরে ।
ধর বিসাই খা পান রাখ রে আমার মান
হাড়গোলা জোড় স্থানে স্থানে ।
বিশাই হাড়ের মিলন যানে
কপিলার গোময় আনে
বর্ত্তিশ নাড় জুড়িল পঞ্জরে ।
বালার উদ্র হইল সরোবর
বর্ত্তিশ নাড় উদ্রের ভিতর
মাথা হইল্যা ডাব নারিকল ।
চাপার কলিকা বালার
আঙ্গুলের বরন হল্য রে
উলুসি নখে কেয়ালাগা কেউতুকি ।
চামরের বরণ বালার মাথার কেশ হল্য
জুভ্বায় বসিলা সরস্বতী ।
কোথা গেলি গো ধোনার মা ডাক্যে বেউলা
আপন স্বামী নেকুস্যা চিনিঞা ।
বেউলা ডাড়াঞা চায় আকি চাটি নাহি পায়
কড়ি অঙ্গুল হঞা গেলি হারা ।
মনসার বরে কবি বিষ্ণু পাল গায়
মা এমন স্বামী নয় আমার পারা ।।
[Page 122]
অ বেউলা লো দুস্থ শুন শুন
শুন লো সুন্দরী ।
কহিতে কহিতে উঠে জলন্ত আগুনি ।
এই জষ্ট মাসে লো আমার দশহরা ।
পূজে নর বাড়ির মুদ দিঞা দশ ফলা ।
আষাড় মাসে পঞ্চমী মোর মনের হরিষে
লইঞা সুবর্ণ বারি গাএনে গাইতে ।
শ্রাবণ মাসের নাগ আমার চরণে বেড়ায়
হাতে হেতাল নড়ি লঞা চান্দো রাজা ধায় ।
ধরিঞা যে নাগটর ভাঙ্গে পানির নলি
জল খাবার বেলায় নাগের [১১০ক] বড়ি বিকুলি ।
ভাদ্র মাসে আড়ান্দ পাল এ ঘরে ঘরে ।
কেউ পালে কেউ না পালে চান্দ রাজার ডরে ।
লুকিঞা ছাপাঞা যদি কেউ দেয় ফুলজল ।
মুনস্যা ঘর দুআর নেয় তার বধএ জীবন ।
আশ্বিন মাসে লো সাতারি জাগরণ ।
ধুপ দীপ জ্বাল্যে বেউলা অশেষ রতন ।
অপুজাতি ভারথে মনসা দেবগণ ।
কার্তিকে গেলাম আমি গোয়ালিনী হঞা ।
ধনন্তরী বধ কল্যাম সআলা পাতিঞা ।
মারিঞা ধরিঞা রোজাকে পুতিলাম খেতিতে ।
তেই কিছু নাগ আমার রইল ভারথে ।
অঘ্রান মাসে লো সনকা পূজে বারি ।
ঘরে ছিল্যা নেড়া রে জানাল্যা অধিকারী ।
তুলিঞা হেটাল মুনসা মারিলেক আছাড় ।
আমার ভাঙ্গিল বারির খুলি চুর্ণ হৈল হাড় ।
বারিটী ভাঙ্গিঞা মুনসা মারিলেক ডোকর ।
বাদল বারিষায় আমার দুখাঅ গতর ।
পৌষ মাসে কাটীলাম রাজার নাখরার বন ।
ঘরে ছিলা বাগানি জানাল্যা সদাগর ।
গন্ধেশ্বরী হাত্যে রাজা ছাড়ে হুহুঙ্কার ।
মড়ার উপর বিক্ষগোলা পায় জিউদান ।
মাঘ মাসে গেলাম লো চান্দর গৃহবাসে ।
মুনস্যা সালি সালি বলিয়া বসিলা বাঁমপাশে ।
তার মহাজ্ঞান হরিলাম সোনার গন্ধেশ্বরী ।
ফুলজলের তরে হইলাম বেন্যার [১১০ খ] মুনসার সালি ।
ফাগুন মাসে খাইলাম চান্দর ছয় কুঙর ।
ছয়পুত্র মৈল রাজার বুকে নাহি ডর ।
মুনসা বড়ই সেহোরা ।
টেঙ্গে দড়ি দিঞা বলে টানে ফেলা মড়া ।
মড়া ফেলা মড়া ফেলা কালির সরাণে ।
যেন ভোজন করিতে নারে মাগি সড়িতের ঘ্রাণে ।
চৈত্রি মাসে লো চৌদলে বহে বা ।
কালিদহে ডুবাল্যাম চান্দর সাতখান না ।
দুসখ দেখিতে নার‍্যে দিলাম পদ্মপাতের ভেলা ।
জলে থাকে মহারাজা মারে কুলকুলা ।
লখাই জিয়াব বৈশাখ মাসে ।
দেবীর বারমাস্যা গায় গুণ ক্ষেমদাসে ।।
[Page 134]

9. বাচাল

অই যায় অই যায় রে হরিঞা লঞা যায় ।
রাজনন্দিনী রথের উপরে যায় দেবী শিরোমুনি ।।
ধুয়া ।
কালি কালি বল্যে মাতা তিন ডাক দিল ।
নোটনে আছিল কালি নিকটে ডাড়াল্য ।
ধর ধর কালি গো বাটার পান খা ।
দক্ষিণসাগর ঘরে ডণ্ড পুর গা ।
যে আজ্ঞা বলিঞা কালি করিলা গমন ।
রাজার দক্ষিণ সাগর ঘরে দিলা দরশন ।
রাজার সিঅরে কালি ই দণ্ড পুরিল ।
চাম্পা নগরখানি কুআ বিষ্টি হৈল ।
কুআর প্রলয় যে হইল নগর ।
হাথে ধর‍্যা রথে বৈসাল বেউলা লক্ষিন্দর ।
হাহার্ককার হৈল রাজ্য সে চাম্পা নগর ।
রথ উঠাইল মাদাই সুন্দর ।
একে ত দেবীর আজ্ঞা মাদাএর গমন ।
একেক পা ফেলিছে মাদাই চৌরাসি যোজন ।
রথে রোদন জুড়িলা ইন্দ্র-বিদ্যাধরী ।
চিনিছিলা মাদাই রথ চলিল্যা মাধুরী ।
ডাক দিঞা বলে মাতা দেবী বিষহরি ।
কেনে বাছা মাদাই তুমি চলিছ মাধুরী ।
মাদাই রথ বলে মাতা নিবেদন করি ।
রোদন করিছেন ইন্দ্র-বিদ্যাধরী ।
উপর কোঠায় মাতা বসিঞা আছিল ।
বেউলার নিকটে মাতা উপনীত হৈল ।
[Page 135]
ডাক দিঞা বলে মাতা মনসা দেবগণ ।
রোদন করিছ বাছা কিসের কারণ ।
বেউলা বলেন মাতা করি নিবেদন ।
প্রাণনাথ আপন পিতার সঙ্গে কৈলা দরশন ।
বিভার পরদিনে আইলাম বিদায় হইঞা ।
পুর্নুবার মাএর পদ না দেখিলাম যাঞা ।
ডাক দিঞা বলেন মাতা জয়- ব্রহ্মানি ।
নিজ বেশ ছাড়া হয় যোগিয়া-যোগিনী ।
যোগিয়া-যোগিনী বেশে করহ গমন ।
আপন পিতামাতার সনে কর দরশন ।
যা আজ্ঞা বলিঞা সভে করিলা গমন ।
নগর উজানিতে যাঞা দিলা দরশন ।
ভিক্ষার ছলাতে সাএরের দুআরে ডাড়াল্য ।
ভিক্ষা দাও ভিক্ষা দাও বলিতে লাগিল ।
ভিক্ষার শবদ তবে শুনিবারে পাল্য ।
সুবর্ণের থালে চিড়ি ভিক্ষা লইল ।
যোগিআ যোগিনীর কাছে আসিঞা ডাড়াল্য ।
যোগী বলে চিড়ির হাথে ভিক্ষা নাহি নি ।
যদি ভিক্ষা দেন রাণী তবে ভিক্ষা নি ।
একথা শুনিঞা চিড়ি করিলা গমন ।
রাণীর সাক্ষাতে যাঞা দিলা দরশন ।
[১২২ খ] শুন শুন অগো রাণী নিবেদন করি ।
দুআরে ডাড়ায় এক যোগিয়া যোগিনী ।
শুন শুন অগো রাণী মু বোলো তোমারে ।
তোমারে ঠাঞি ভিক্ষা নিব বলিছে সত্তরে ।
সুবর্ণের থাল রাণী হাথে কর‍্যা নিল ।
যোগিআ যোগিনীর কাছে আসিঞা ডাড়াল ।
ভিক্ষা নিবার তরে বেউলা হৈলা আগুসার ।
লখাই পেছুঞা ডাড়ায় দেখিঞা শ্বাশুড়ি ।
যোগিনীকে দেখে বেউলার মুখ পড়ে গেল মনে ।।
বেউলা বলে অগো মাতা তোরে নিবেদি ।
যোগী তোমার জামাতা আমি তোমার ঝি ।
নেত বলে অগো মাতা কাজ মন্দ হৈল ।
পরিচয় হইলে বেউলা আনিতে নারিব ।
এতেক শুনিঞা মাতা চিন্তিত অন্তরে ।
হাথে ধর‍্যা রথে তোলায় বেউলা লক্ষিন্দরে ।
উজানি নগর দেখ হাহাকার হৈল ।
পবন গমনে রথ চলিতে লাগিল ।
একে ত দেবীর আজ্ঞা মাদাএর গমন ।
একেক পা ফেলিছে মাদাই চৌরাশি যোজন ।
বচন বলিতে রে যোজন পথ যায় ।
জোমালএর কুলে রথে আসিঞা ডাড়ায় ।
ধর্মপাঁজি ব্রহ্মখড়ি জোমের হাথে ছিল ।
সকাএ মনুষ্য যায় জানিবারে পাইল ।
মার শবদ যমদূত ধাঅ ।
বিষ-নআনে মা দূতের পানে চায় ।
ধাঞা ছিল জম...[১২৩ ক] নেত বলে
শুন বেহুলা করি নিবেদন ।
কহিব অপুর্ব যমপুরীর কথন ।
নদী বেত বলিব হে কি কত বাখান ।।
অমিত্য শলিল পান করে পুণ্যবান ।
স্থানে স্থানে সরোবর উত্তম ভুবন ।।
ইন্দ্রপুরী হৈতে শুভা অতি য়নুপাম ।
কতশত পাপিচারি বেশে পুণ্যবান জনে ।।
পাপিগণ পাপ ভুগ করএ দক্ষিণে ।
যেহ দ্বারে জেই জন যায় জমপুরী ।
তার কথা শুন বেহুলা সুন্দরী ।
পুরী উত্তর দ্বার অতি শুসভন
প্রবাল মোদ্ধ তাহে অতি মনোরম ।।
গমনে অপুর্ব পথ ছায়া জল জুত ।
[Page 136]
ভিক্ষভোজ্য উপহার সর্ব সুব সুত ।
দেব অতি সোসভন ।।
নানা ভোগদ্রর্ব আছে য়মিত্ত শুমান ।
সম্মুখ শংগ্রামে যত মরে যোদ্ধাগণ ।
পছ্যিম দুয়ারে যায় যমের সদন ।
পুর্বদ্বার সুবিস্তার পরম সুন্দর ।
দধি দুগ্ধ ভক্ষ দ্রব্য য়মি সুস্রর ।
স্বামীর সহিত মরে যত নারীগণ ।
স্বামীর সহিত বহে নদী বৈতরণী ।
পাপী পার হতে নারে পরসিঞা পানি ।
মোস্থকে দারুণ দূত করএ প্রহার ।
স্যাতরিঞা পাপীগণ কষ্টে হয় পার ।।
[১২৩ খ] পিতের পূন্যে পুত্ত যদি বিষদান ।
চাপিঞা তরণী তবে পার হঞা জান ।
তারপর দেখি পাপীর বড় বড় ক্রীড়া ।
মোস্তকে শুনিত খায় পায় বর পিড়ে ।
কেসরি বন্দিত হয় হৈতে নারে পার ।
প্রবিনন্দকুর পথে খের অন্ন কায় ।
চোরাশী সহস্র কুণ্ড নরক দক্ষিণে ।
তার কথা কহি বেহুলা শুন সাবধানে ।
বজ্রকীট মহাপোকা নরক ভিতর ।
পাপীর শরীর ত্যাগ হয় নীরান্তর ।
স্বামীকে অবিজ্ঞা করে স্থাপিত হরণ ।
দেবদ্বিজ গুরু নিন্দা করে যেই জন ।
তাহার পতন খের নরক ভিতর ।
দূতগণ প্রহার করএ নিরান্তর ।।
চিত্তগোপ্ত করে ধর্মাধর্মের বিচার ।
কহ্ম অনরূপতে ভোগ করএ সংসার ।
মহানদী তীরে বহে পুরিআ সুগীত ।
বিস্তার যোজন শত কন্টকে পুরিত ।
গোবধি স্ত্রীবধি পাপী তথাকারে যায় ।
গুরুজায়া হরে যারা কপট মায়াঅ ।
নদীর কুলেতে বৈসে দহ তরুবর
[পৃ ১২৪ ক] শ্রীদুর্গা শ্রীদুর্গা শ্রীহরি শ্রীহরি
শ্রীদুর্গা ।

This text is in its original language, and has an English translation:
Translation

This is a selection from the original text

Keywords

অনাহার, দধি, দুগ্ধ, ফলমূল, ভাত, ভিক্ষা, ভিক্ষা

Source text

Title: Manasamangal

Author: Visnu Pala

Editor(s): Sukumar Sen

Publisher: The Asiatic Society

Publication date: 1968

Original compiled c.1775-1825

Edition: 2nd Edition

Place of publication: Kolkata

Provenance/location: This text was transcribed from images available at the Digital Library of India: http://www.dli.ernet.in/. Original compiled c.1775-1825

Digital edition

Original author(s): Visnu Pala

Language: Bengali

Selection used:

  • 1 ) page 14
  • 2 ) pages 36 to 37
  • 3 ) pages 60 to 61
  • 4 ) pages 61 to 62
  • 5 ) pages 66 to 67
  • 6 ) page 77
  • 7 ) pages 91 to 92
  • 8 ) pages 121 to 122
  • 9 ) pages 134 to 136

Responsibility:

Texts collected by: Ayesha Mukherjee, Amlan Das Gupta, Azarmi Dukht Safavi

Texts transcribed by: Muhammad Irshad Alam, Bonisha Bhattacharya, Arshdeep Singh Brar, Muhammad Ehteshamuddin, Kahkashan Khalil, Sarbajit Mitra

Texts encoded by: Bonisha Bhattacharya, Shreya Bose, Lucy Corley, Kinshuk Das, Bedbyas Datta, Arshdeep Singh Brar, Sarbajit Mitra, Josh Monk, Reesoom Pal

Encoding checking by: Hannah Petrie, Gary Stringer, Charlotte Tupman

Genre: India > poetry

For more information about the project, contact Dr Ayesha Mukherjee at the University of Exeter.

Acknowledgements